#হিজামা_একটি_নববী_চিকিৎসা_
#হিজামা_কিভাবে_কাজ_করে
হিজামা নিয়ে সারা বিশ্বে সেরা রিসার্চ যাঁরা করেছেন তাঁরা বলছেন, সব রোগে
একটা থেরাপি কাজ করা সম্ভব যখন একটা সেন্ট্রাল মলিকিউল সব ফিজিওলোজিক্যাল
ফাংশনিং এর মূলে থাকে! আর মানুষের ক্ষেত্রে সেই টার্গেট মলিকিউলটির নাম
নাইট্রিক অক্সাইড, যা কীনা আমাদের বেঁচে থাকার পেছনে এক মিরাকেল মলিকিউল!!
হিজামার মেকানিজম নিয়ে এর আগে আরো দু একটা পোষ্ট দিয়েছে ,ইনশাল্লাহ আরো দেওয়ার চেষ্টা করবো সামনে।
হিজামার অনেকগুলো মেকানিজম এর একটি হল এটি একটি নাইট্রিক অক্সাইড বুস্টার থেরাপি যেটা নিয়ে আজকে আমাদের আলোচনা ।
যদি রোগটা এমন হয় যে, নাইট্রিক অক্সাইড বুস্ট করলে উপকার (যেমন ধরুন,
Infertility)তখন স্ট্যান্ডার্ড ২০ টা কাপিং সাইটের প্যাকেজ দেই আমরা। যদি
লোকাল সাইট টার্গেট হয় (যেমন ধরুন, Low back pain) তখন এর চেয়ে কম কাপিং
সাইট কাভার দিলেই চলে।
চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডিটেইলস এ আশা যাক ..
√ রাসুল সা: বলেছেন, হিজামা স্মৃতি বাড়ায়, চোখের দৃষ্টি উন্নত করে!
কিন্তু কীভাবে?ভেবেছেন কখনো? ঠিক ধরেছেন, নাইট্রিক অক্সাইড দিয়ে (নিশ্চয়
আল্লাহ ভাল জানেন)!
নাইট্রিক অক্সাইড একটি পাওয়ারফুল কেমিক্যাল
মেসেঞ্জার।এটা একটা Neurotransmitter! যা নিউরোনাল কানেকশন তৈরিতে ভূমিকা
রাখে! তাই স্মৃতিশক্তির উন্নতিতে এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
চোখের দৃষ্টির প্রখরতার উপরে নাইট্রিক অক্সাইডের ভূমিকা নিয়েও ভুরিভুরি রিসার্চ করা আছে!
√ রাসূল সা: উচ্চ রক্তচাপে হিজামা করতে বলেছেন। বিশেষ করে চন্দ্র মাসের ১৭, ১৯ ও ২১ তারিখে! হিজামা প্রেশার কমায়? কীভাবে?
প্রেশারের জন্যে যারা ওষুধ খান তারা নাইট্রোগ্লাইসেরিন (GTN), সোডিয়াম
নাইট্রোপ্রুসাইড এর নাম শুনে থাকবেন। কি এগুলো? সিম্পলি নাইট্রিক অক্সাইড
ডোনার! যা ব্লাড ভেসেল সম্প্রসারিত করে প্রেশার কমাচ্ছে!
হিজামাতে সেই একই নাইট্রিক অক্সাইড বুস্ট হচ্ছে ন্যাচারালি!
√ আবার ধরুন, নিয়মিত হিজামা করাতে থাকলে দেখা যাচ্ছে Erectile dysfunction অনেক improve করছে। সেটা কীভাবে?
যৌন দূর্বলতার চিকিৎসা হিসেবে অথবা যৌন উত্তেজক হিসেবে অপব্যবহৃত ওষুধ
হিসেবে দু'ভাবেই আমরা 'ভায়াগ্রা'র নাম শুনেছি। এটা কি?এটাও একটা নাইট্রিক
অক্সাইড ডোনার। যা রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে পেশীর strenghening করছে! সিম্পটম
রিলিভ করছে।
হিজামাও সেই একইভাবে নাইট্রিক অক্সাইড বুস্ট করে erectile dysfunction ঠিক করছে!
√ বন্ধ্যাত্ব নিয়ে যাদের সমস্যা হিজামা করছেন তারাও। জেনে খুশি হবেন
যে follicular maturation থেকে LH surge এর প্রতিটি ধাপে নাইট্রিক অক্সাইড
এর ভূমিকা আছে। তাই polycystic ovarian syndrome এ hormonal imbalance টা
ঠিক হলে আমরা ধারনা করতে পারছি যে, হিজামা feedback loop এ একটা major
impact রাখছে।
√ আমাদের Gut function (অন্ত্র এবং হজম সংক্রান্ত
যেকোন কাজে) এর রেগুলেশন এ নাইট্রিক অক্সাইড এর ভূমিকা আছে। অন্ত্রের
nerve plexus গুলোর উপর নাইট্রিক অক্সাইড কাজ করে! আমরা অনেকেই জানি, রাসূল
সা: খালি পেটে হিজামা করতে বলেছেন! ব্যাপারটি কিন্তু একেবারে কাকতালীয় নয়!
√ এথলেটসদের স্ট্যামিনার উপরে নাইট্রিক অক্সাইড এর ভূমিকা নিয়ে তো রিসার্চ
এর শেষ নেই! তাই যারা দূর্বলতার কারনে হিজামা করিয়ে বলেন ঝরঝরে লাগছে -
সেটা কেন হয় তা সহজেই অনুমেয়!
√ ডায়েবাটিক, স্ট্রোক এবং হাইপারটেনশেন সহ নানা রোগের দীর্ঘমেয়াদী কমপ্লিকেশন কমাতে নাইট্রিক অক্সাইড অনবদ্য।
√ শুধু তাই নয়!ডায়েবেটিস এর রোগীর ও হিজামা করানো যায় কোন ইনফেকশন এর
ঝু্ঁকি ছাড়া - এ কথা শুনলে অনেকেরই চোখ কপালে ওঠে! এর পেছনেও আছে নাইট্রিক
অক্সাইড! যার কীনা antibiotic property ও আছে!
হিজামাতে কোন Deep cut
হয়না। Superficial Cut এর ক্ষেত্রে এসব cut margin এ যে পরিমাণ নাইট্রিক
অক্সাইড জমা হয় তা bacterial colonization কে বাঁধা দিতে সক্ষম!
উদাহরণ দিয়ে আসলে শেষ করা সম্ভব না!!!গুগল/ইউটিউবে Nitric Oxide therapy লিখে সার্চ দিলে পেয়ে যাবেন বিস্তারিত তথ্য!!
এখন মূল প্রব্লেমটা কোথায় বলি।
হিজামা করালে ক্লিনিক্যাল এফেক্ট কি হবে সেটা কিন্তু অনুমান করা মুশকিল!
কেন? কারন Wound Healing & repair এর সময় এক্সাক্ট ঠিক কি পরিমান
নাইট্রিক অক্সাইড সার্কুলেশন এ যাবে সেটা মাপার সুযোগ এদেশে নেই। অনেক
ক্ষেত্রে এমন ও হয় Wound Margin এর নাইট্রিক অক্সাইডের concentration বেশি
প্লাজমাতে অত নয়!
তাই হিজামার নির্ভরযোগ্য রিসার্চগুলোর
রিকমেন্ডেশন হল কাপ সংখ্যা যতটা সম্ভব ম্যাক্সিমাইজ করা। 'যতটা সম্ভব' মানে
রোগীকে discomfort এ না ফেলে। তাতে বুস্ট টা হবার চান্স বাড়ে!
২/৩/৫ টা পয়েন্টে হিজামা করালে আপনি হিজামার Excretory benefits, Analgesic
benefit এগুলো হয়তো পাবেন কিন্তু নাইট্রিক অক্সাইডের tremendous health
benefits কতটা পাবেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত বলা মুশকিল।
তাই আমাদের লক্ষ্য থাকে রোগীর জন্যে সহনীয় হয় এমনভাবে কাপ সংখ্যা ম্যাক্সিমাইজ করে নাইট্রিক অক্সাইড বুস্ট করা.
হিজামা নিয়ে আপানাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা।
প্রশ্নঃ- আল হিজামা পয়েন্ট কি ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত ??
উত্তরঃ- জ্বী ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত এবং প্রতিটা চিকিৎসা ডাক্তারের পরামশ নিয়ে করা হয়।
প্রশ্নঃআল হিজামা পয়েন্টে হিজামা কি মহিলাদের করা যায় ??
উত্তরঃ জ্বী ,আমাদের মহিলাদের অভিজ্ঞ থেরাপীষ্ট আছেন এবং ডাক্তারের কন্সাল্টেসশন নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রশ্নঃআল হিজামা পয়েন্ট কয়টা কাপ দেয়??
উত্তরঃ- আল হিজামা পয়েন্ট কাপ হিসেব করেনা ,রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
প্রশ্নঃ- কয়টা সেশন লাগে??
উত্তরঃ- এইটা ঠিকভাবে বলা মুশকিল কয়টা সেশন লাগে যার ব্যখ্যা উপরে দেওয়ার চেষ্টা করেছি ।
প্রশ্নঃআমরা সমস্যা জানিয়ে আল হিজামা পয়েন্টে নক দেয় কিন্তু কাষ্টমার
কেয়ার এক্সিকিউটিব বলেন ,ডাক্তার কন্সাল্ট করতে ।কেন আপনারা খরচ জানান না ।
উত্তরঃ আমাদের ডাক্তারের সাথে কন্সাল্ট করার কথা এই জন্য জানায় যাতে সঠিক
রোগ নির্ণয় করে যাতে একটা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান করা যায় ।আমাদের অভিজ্ঞতা বলে
যে,রোগী ইনবক্সে বা কমেন্টে একটা সমস্যা বলেন কিন্তু পরে দেখা যায় উনার
সমস্যা একাধিক।দেখা যায় বলেন ঘাড়ে ব্যাথা পরে দেখা যায় উনার ঘুমের সমস্যা
।বলেন পিঠে ব্যাথা পরে দেখা যায় রোগী হাতে ,হাঁটুতে ব্যাথা।কেউবা আবার
জানান পায়ে ব্যাথা পরে দেখা গেলো উনার কোমড়ে হাড়ে সমস্যা ,তাই আমরা চাই
সঠিক রোগ নির্ণয় এর মাধ্যমে আমরা একটা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান করতে পারি
।আমাদের ডাক্তারের কন্সাল্টেশন এখন সবার জন্য উন্মুক্ত।আপনাদের যা করতে হবে
,তা হচ্ছে আপনাদের পূর্বের সকল চিকিৎসার ব্যবস্থা পত্র এবং সব ল্যাব
রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের কাছে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান নিয়ে যাওয়া ।এবং ডায়েবেটিস
রোগীদের অবশ্য রক্তে সুগারের লেভেল জেনে আসাও জরুরী।
প্রশ্নঃ- কত টাকা লাগবে প্রায় প্রশ্ন করে থাকেন এবং অভিযোগ করেন আমরা জানায় না।
উত্তরঃ- এইটা আমাদের কাষ্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিব উত্তর দিতে পারেন না আর
রোগ সম্পর্কে উনাদের তেমন ধারণা নেইা,যার জন্য আমরা বলি ডাক্তার
কন্সাল্টেন্সী করতে যার ফলে আপনি পুরা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান করে ইনশাল্লাহ
আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রশ্নঃ আপনারা কাটার জন্য কি ব্যবহার করেন? ব্যাথা পাই না কাটার সময়?
মাথায় করার সময় কি চুল ফেলতে হয় ??একি কাপ কি বার বার ব্যবহার করা হয়??
উত্তরঃ-আমরা ডিস্পোসিবল ব্লেড,কাপ ব্যবহার করি এবং কাটার সময় একেক জনের
এক্সপেরিয়েন্স একেক রকম কেউ ব্যাথা পাই কেউ বলে কাতুকুতু লাগে।
চুল ফেলতে বলি কারণ ভালভাবে কাপ না আটকালে ফায়দা পাওয়া যাবেনা।
আর কেউ ব্যাথার কথা জানালে আগে আমরা এনেস্থেটিক জেল ব্যবহার করি।
প্রশ্নঃ রোগ ছাড়া যে কেউ চাইলে কি হিজামা নিতে পারে না ?
উত্তরঃ জ্বী অবশ্য নিতে পারবেন ,সুন্নাহ কাপিং (৯ টা বডি পয়েন্ট) এবং বডি ডিটক্স (১৫-১৭ টা পয়েন্ট )।
প্রশ্নঃআসার আগে কোন কি কি মেনে আসতে হবে?
উত্তরঃ
১।গোসল করে আসতে হবে।
২।বিবাহিত হলে স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকবেন।
৩।অবাঞ্চিত লোম পরিষ্কার করে আসবেন (পারফিউম ইউজ করে আসলে ভালো হয় কিংবা সাথে নিয়ে আসলে এখানে হিজামার পূর্বে ইউজ করে নিবেন )
৪। ঢিলেঢালা জামা অথবা পুরুষরা সাথে লুংগি রাখবেন।
৫।সাথে কোন এটেন্ডেন্স নিয়ে আসলে ভালো হয় কোন প্রয়োজনের উনার সহযোগীতা নেওয়া যাবে।
হিজামা নিয়ে যেকোন আলোচনায় স্বাগতম আমাদের সেন্টারে।
হিজামা (Cupping) এর মাধ্যমে যে সব রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকেঃ
১। মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা
২। রক্তদূষণ
৩। উচ্চরক্তচাপ
৪। ঘুমের ব্যাঘাত (insomnia)
৫। স্মৃতিভ্রষ্টতা
৬। অস্থি সন্ধির ব্যাথা/ গেটে বাত
৭। পিঠের ব্যাথা
৮। হাঁটু ব্যাথা
৯। দীর্ঘমেয়াদী সাধারন মাথা ব্যাথা
১০। ঘাড়ে ব্যাথা
১১। কোমর ব্যাথা
১২। পায়ে ব্যাথা
১৩। মাংসপেশীর ব্যাথা (muscle strain), মাসল পুল
১৪। দীর্ঘমেয়াদী পেট ব্যথা
১৫। হাড়ের স্থানচ্যুতি জনিত ব্যাথা, ফ্র্যাকচার পেইন
১৬। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
১৭। সাইনুসাইটিস
১৮। হাঁপানি (asthma)
১৯। হৃদরোগ (Cardiac Disease)
২০। রক্তসংবহন তন্ত্রের সংক্রমন
২১। টনসিলাইটিস, ফ্যারিঞ্জাইটিস, ব্রংকাইটিস
২২। দাঁত/মুখের/জিহ্বার সংক্রমন
২৩। গ্যাস্ট্রিক পেইন, গ্যাস্ট্রিক আলসার, এসিডিটি, esophageal varices ২৪। মুটিয়ে যাওয়া (obesity)
২৫। দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ (Chronic Skin Diseases)
২৬। ত্বকের নিম্নস্থিত বর্জ্য নিষ্কাশন
২৭। ফোঁড়া-পাঁচড়া সহ আরো অনেক রোগ,
২৮। ডায়াবেটিস (Diabetes) ও ডায়াবেটিক ফুট,
২৯। ভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রোল্যাপ্স/ হারনিয়েশান,
৩০। চুল পড়া (Hair fall),
৩১। মানসিক সমস্যা (Psychological disorder),
৩২। পারকিনসন্স ডিজিজ
৩৩। কিডনির সমস্যা
৩৪। স্পোর্টস ইঞ্জুরি (খেলোয়াড়, আর্মি, কনট্যাক্ট স্পোর্টস)
৩৫। কানের সমস্যা
৩৬। ক্যান্সারের ব্যাথা নিয়ন্ত্রন,
৩৭। লিভার ডিজিজ, পোর্টাল হাইপারটেনশান,
৩৮। হরমোনাল সমস্যা,
৩৯। ব্রেইন ডিজিজ ও ডিজঅর্ডার,
৪০। ক্রনিক কফ
৪১। Erectile Dysfunction (ED)
৪২। ব্রন,
৪৩। সিস্টেমিক লুপাস ইরাইথেমেটোসাস (SLE),
৪৪। অনিয়মিত মাসিক, মেয়েদের অন্যান্য সমস্যা,
৪৫। এডিকশান/ ডিপেন্ডেন্সি (স্লিপিং পিল, ড্রাগস, কফ সিরাপ, জর্দা, সিগারেট, এলকোহল ও অন্যান্য নেশাদ্রব্য)
৪৬। TMJ Dysfunction Syndrome
৪৭। প্যারালাইসিস (স্ট্রোক, মেরুদন্ডে আঘাত, গিয়েন বারে সিন্ড্রোম, ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বা বেল'স পলসি প্রভৃতি)
৪৮। অস্টিওপোরোসিস (হাড়ের ক্ষয়)
৪৯। Post menopsusal hot flush
৫০। Vaginismus
৫১। vertigo (মাথা ঘোরা)
0 Reviews:
Post Your Review